সোনারগাঁ(নারায়ণগঞ্জ)প্রতিনিধি: নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ের বারদী ইউনিয়নের চেঙ্গাকান্দি এলাকায় বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে নিরীহ মানুষের জমি দখলের অভিযোগ উঠেছে।গতকাল রোববার ৫নংওয়ার্ড বিএনপির সহ-সভাপতি মো.মুছা মিয়ার বিরুদ্ধে ওই জমিতে ইটের দেয়াল নির্মাণ করে ওই জমি দখলের অভিযোগ উঠে। এঘটনায় ভূক্তভোগী আবুল হোসেন বাদি হয়ে ৯ জনের নাম উল্লেখসহ আরো ১০-১২জনের বিরুদ্ধে গতকাল রোববার সোনারগাঁ থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের প্রেক্ষিতে পুলিশ তদন্তে গেলে পুলিশের সামনেই বারদী ইউনিয়ন জামায়াতের সহ-সভাপতিকে পিটিয়ে আহত করে নগদ ৪৪ হাজার ৫শ টাকা ছিনিয়ে নেয়। এ ঘটনায় ওই এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। জানা যায়,উপজেলার বারদী ইউনিয়নের চেঙ্গাকান্দি গ্রামের আবুল হোসেন পৈত্রিক ওয়ারশি সূত্রে মালিক হয়ে দীর্ঘদিন ধরে ভোগ দখল করে আছেন। সম্প্রতি আবুল হোসেনের ভাই আলী হোসেনের কাছ থেকে সাড়ে ৩ শতাংশ বাড়ির জায়গা ক্রয় করে ৫ নংওয়ার্ড বিএনপির সহ-সভাপতি মো.মুছা মিয়া। তিনি ২৮ শতাংশ জমি দখলের চেষ্টায় রয়েছেন। এ নিয়ে আবুল হোসেন ও মো. মুছা মিয়ার মধ্যে দ্বদ্ধ চলছে। ওই জমি দখলের নেওয়ার জন্য গতকাল রোববার দুপুরে মুছা মিয়ার নেতৃত্বে মো. মোস্তফা মিয়া,গোলজার হোসেন,মঞ্জু মিয়া, বাদল মিয়া,মো.সুমন,আহম্মদ আলী,রাসেল মিয়া ও শাহিন দেশীয় অস্ত্র দা,বল্লম,চাপাতি,লোহার রড, চাইনজি কুড়াল,লাঠিসোটায় সজ্জিত হয়ে আবুল হোসেনের বাড়িতে প্রবেশ করে ভয়ভীতি দেখিয়ে দেয়াল নির্মাণের চেষ্টা করে। এ ঘটনায় আবুল হোসেন বাদি হয়ে সোনারগাঁ থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। পরে পুলিশ নিয়ে বাড়িতে যাওয়ার পর পুলিশের উপস্থিতি মিমাংসা করতে আসা বারদী ইউনিয়ন জামায়াতের সহ-সভাপতি আব্দুল মতিনকে পিটিয়ে আহত করে। এসময় তার পাঞ্জাবি টেনে হেচড়ে ছিড়ে ফেলে। তার সঙ্গে থাকা ৪৪ হাজার ৫শ টাকা ও নোট বই ছিনিয়ে নেয়। ভূক্তভোগী আবুল হোসেন জানান,দীর্ঘদিন ধরে পৈত্রিক সূত্রে পাওয়া সম্পত্তি তিনি ভোগ দখলে রয়েছেন। সম্প্রতি তার ভাইয়ের কাছ থেকে সাড়ে ৩ শতাংশ জমি ক্রয় করে তার ২৮ শতাংশ জমি দখল করতে চাচ্ছেন। তার ক্রয়কৃত সম্পত্তি চৌহাদী নদীর ধারে হলেও তিনি তার বাড়ির জায়গা দখল নিচ্ছেন।সেখানে ইটের দেয়াল নির্মাণ করেছেন। আহত জামায়াত নেতা আব্দুল মতিন বলেন,আওয়ামীলীগ সরকারের সময় বিএনপি নেতা মুছা মিয়ার সাথে তিনিও জেলে ছিলেন। ওই সময় থেকে তাদের সু-সম্পর্ক রয়েছে। আবুল হোসেন ও মুছা মিয়ার সঙ্গে জমি সংক্রান্ত বিরোধ মিমাংসা করতে গেলে অর্তকিতভাবে তার ওপর হামলা করা হয়। হামলা করে তার সঙ্গে থাকা টাকা ছিনিয়ে নেয়। অভিযুক্ত ৫নংওয়ার্ড বিএনপির সহ-সভাপতি মো.মুছা মিয়ার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন,আওয়ামীলীগ সরকারের সময় তাদের হামলা ও মামলা দিয়ে বাড়ি ছাড়া করে রাখা হয়েছিল। ওই সময়ে এ সম্পত্তি দখলে নিতে পারেননি। বর্তমানের পরিস্থিতি তাদের অনুকুলে থাকায় দখলে নিয়েছেন।সোনারগাঁ থানার পরিদর্শক(তদন্ত) মো.রাশেদুল হাসান খাঁন বলেন, জমি সংক্রান্ত বিরোধের ঘটনায় অভিযোগ গ্রহন করা হয়েছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। উভয় পক্ষকে জমির সঠিক কাগজপত্র নিয়ে থানায় আসতে বলা হয়েছে।