আজ মঙ্গলবার, আগস্ট ২৬, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

কক্সবাজারে পেকুয়ায় সাংবাদিক পরিবারের বহু বছরের ভোগ দখলীয় জমি দখল করে অবৈধভাবে রাতের বেলায় ঘর নির্মাণের ঘটনায় আবুল কালাম বাহাদুর নামের এজাহারভুক্ত ১ আসামিকে আটক করেছে পেকুয়া থানা পুলিশ । শনিবার (২৩ আগস্ট) সন্ধ্যায় পেকুয়া উপজেলার সদর ইউনিয়নের চেীমূহণী থেকে তাকে আটক করে। গ্রেফতারকৃত আসামি হলেন পেকুয়া উপজেলার রাজাখালী ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের মাতব্বর পাড়ার মৃত আবুল কাশেমের পুত্র আবুল কালাম বাহাদুর( ৫০)। তিনি এজাহার ভুক্ত এক নম্বর আসামি। এ ঘটনায় মঙ্গলবার (১৮ আগস্ট) ভুক্তভোগী পরিবারের পক্ষে রফিকুল হক বাদী হয়ে ৫ জনের নাম উল্লেখ করে পেকুয়ায় থানায় একটি মামলা রুজু করেছিলেন। মামলায় আরও ৫/৬ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে। মামলা নম্বর ১৭/১৮ আগস্ট-২৫।

মামলার আসামিরা হলেন, পেকুয়ার রাজাখালী ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের মৃত আবুল কাশেমের পুত্র আবুল কালাম বাহাদুর (৫০), একই গ্রামের মৃত বশত আলীর পুত্র রবিউল আলম (৪৫), মৃত বশত আলীর পুত্র মোহাম্মদ রফিক (৫২), মৃত নুরুল ইসলামের পুত্র বদিউল আলম (৫৫) ও মৃত নুরুল ইসলামের পুত্র সিদ্দিক আহমেদ (৫০)।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পেকুয়া থানার উপ পরিদর্শক উগ্যজাই মারমা বলেন, সন্ধ্যার দিকে পেকুয়া চেীমূহণী থেকে আবুল কালাম বাহাদুর নামের এক আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে অবৈধ জোর পূর্বক জায়গা দখল করে বাড়ি নির্মাণের মামলা রয়েছে। পেকুয়া থানার অফিসার্স ইনচার্জ ( ওসি) মোঃ সিরাজুল মোস্তফা বলেন, আবুল কালাম বাহাদুর নামের এজাহার ভুক্ত এক আসামিকে আটক করা হয়েছে। রবিবার তাকে চকরিয়া সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পাঠানো হবে।

উল্লেখ্য, উক্ত জমি খাজনা অনাদায়ের কারণে ১৯৫৮ সালে সরকার নিলাম ঘোষণা করেন। সেই আলোকে ১৯৬০ সালে ৩৮ নং মানিজারী মোকদ্দমার ডিক্রি মূলে কক্সবাজার মুন্সেফ আদালত থেকে ছিদ্দিক আহমদ উক্ত জমি নিলাম খরিদ ক্রয় করেন। নিলাম খরিদ্দার ছিদ্দিক আহমদ উক্ত জমি ১৯৭০ সালে টাকার প্রয়োজনে বাদীর পিতা রমিজ আহমদকে বিক্রি করে দখল হস্তান্তর করেন। খরিদ মালিক রমিজ আহমদের নাম লিপি করাইয়া দেন এবং তা বি.এস ১৩৫০ নং খতিয়ান ভুক্ত হয়। রমিজ আহমদ আহমেদের মৃত্যু ঘটলে তার সন্তানরা ওয়ারিশ সূত্রে এই জমির মালিকানা পায়।

Exit mobile version