আজ মঙ্গলবার, অক্টোবর ১৪, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে ছিনতাইয়ের পর এক নারীকে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। গত মঙ্গলবার রাতে পৌর এলাকার দৈলেরবাগ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী ওই নারী বাদী হয়ে ৮ জনকে আসামি করে গতকাল বুধবার রাতে সোনারগাঁ থানায় মামলা দায়ের করেন। পুলিশ গণধর্ষণ মামলার প্রধান আসামি মো. সজিবকে গ্রেপ্তার করেছে।

গ্রেপ্তার সজিব হাবিবপুর গ্রামের মৃত সবুজ মিয়ার ছেলে। তাকে নারায়ণগঞ্জ আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। গণধর্ষণের শিকার ওই নারীকে ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য নারায়ণগঞ্জ ভিক্টোরিয়া হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
সোনারগাঁ থানায় দায়ের করা এজহার থেকে জানা যায়, মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া উপজেলার বালুয়াকান্দি এলাকার ৪০ বছর বয়সী ভুক্তভোগী নারী বিভিন্ন অনুষ্ঠানে বাবুর্চির সহকারী হিসেবে কাজ করেন। গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় তার দেবর কামাল হোসেনকে নিয়ে মদনপুর এলাকার একটি বেসরকারী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বোনকে দেখতে যান। পরে তার দেবর ও ওই নারী রাতে সিএনজি যোগে কৃষ্ণপুরা এলাকায় তার খালাতো ভাই ইমনের বাড়ি যাওয়ার উদ্দেশ্যে রওনা হন। পথে রাত সাড়ে ১১টার দিকে চিলারবাগ এলাকায় গ্রেপ্তারকৃত আসামি সজিবের নেতৃত্বে মো. হাসান, মো. আকাশ, মো. অয়ন, ফরিদ ওরফে বোম ফরিদ, সাকিব, সোহান ওরফে জঙ্গী সোহান ও সজিব ওরফে ব্লেড সজিব তাদের বহনকারী সিএনজি গতিরোধ করে। এক পর্যায়ে তাদের দেশীয় অস্ত্র ঠেকিয়ে দৈলেরবাগ এলাকার লাল মিয়ার পরিত্যক্ত টিনশেড বাড়িতে নিয়ে যায়। তাদের মারধর করে নগদ ১৬ হাজার টাকা ও নারীর স্বর্ণের কানের দুল ছিনিয়ে নেয়। পরে তারা অন্য একটি কক্ষে আটকে রেখে ভুক্তভোগী ওই নারীকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে।

এদিকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে কুয়েত প্রবাসীর গাড়িতে ছিনতাইকালে সজিবকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে সজিবের গ্রেপ্তারের খবরে ওই নারী থানায় এসে হাজতে তাকে দেখতে পেয়ে চিনতে পারে। এ ঘটনায় নারী বাদি হয়ে সোনারগাঁ থানায় রাতে সজিবকে প্রধান আসামি করে ৮জনের নামে মামলা দায়ের করেন।

সোনারগাঁ থানার ওসি মোহাম্মদ আব্দুল বারী বলেন, গণধর্ষণের ঘটনায় মামলা গ্রহণ করা হয়েছে। এ ঘটনায় একজনকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে। ভুক্তভোগী ওই নারীকে ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

Exit mobile version