আজ মঙ্গলবার, আগস্ট ২৬, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

বাংলাদেশের অর্ন্তবর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, গণ-অভ্যুত্থানে প্রাণহানির বিচার এবং কাঠামোগত সংস্কার ছাড়া নির্বাচন হলে দেশ আবারও পুরোনো সংকটে ফিরে যাবে। সম্প্রতি মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুরে সিঙ্গাপুরভিত্তিক চ্যানেল নিউজ এশিয়া (সিএনএ) টেলিভিশনকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ কথা বলেন। প্রধান উপদেষ্টা জানান, বাংলাদেশে গ্রহণযোগ্য, উৎসবমুখর ও জবাবদিহিমূলক নির্বাচন আয়োজন করাই তার সরকারের অন্যতম লক্ষ্য।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশে একটি গ্রহণযোগ্য, উৎসবমুখর ও জবাবদিহিমূলক নির্বাচন আয়োজন করাই এই সরকারের অন্যতম লক্ষ্য। তবে নির্বাচন বিচার ও সংস্কারের বিকল্প নয় বলেও মন্তব্য করেন তিনি।  নির্বাচনের পরে সরকারে থাকার কোনো পরিকল্পনা নেই বলেও জানিয়ে দেন প্রধান উপদেষ্টা, গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী সময়ে জাতির যে আকাঙ্ক্ষা, তা নিশ্চিত করাই তাদের মূল লক্ষ্য। সংস্কার, বিচার ও নির্বাচন এই তিনটি বিষয় প্রাধান্যের তালিকায় সবার আগে বলেও জানান তিনি। নির্বাচন ও সংস্কার—কোনটি আগে? প্রধান উপদেষ্টা বলেন, যদি নির্বাচন দিয়ে শুরু করি তাহলে আমাদের সংস্কারের প্রয়োজন নেই। বিচারের প্রয়োজন নেই। কারণ, আমাদের পক্ষ থেকে নির্বাচন হলে সবকিছু শেষ হয়ে যাবে। তাহলে সবকিছু নির্বাচিতদের হাতে চলে যাবে। অন্য দুটি কাজ না করে শুধু নির্বাচন হলে ফের সেই পুরোনো সমস্যায় ফিরে যাওয়াটাই স্বাভাবিক গন্তব্য হবে, যা ফ্যাসিবাদী শাসনব্যবস্থার পুনঃপ্রবর্তন ঘটাবে। কারণ, সেই পদ্ধতি কোনো আইনের শাসন তৈরি করতে কাজ করবে না।

আন্তর্জাতিক সম্পর্ক ও দ্বিপাক্ষিক পররাষ্ট্রনীতি ইস্যুতেও কথা বলেন ড. ইউনূস। পাকিস্তান ও চীনের সঙ্গে বাংলাদেশের ভালো সম্পর্ক রয়েছে উল্লেখ করার পাশাপাশি জানান, ভারতের সঙ্গেও ভালো সম্পর্ক রাখতে চায় বাংলাদেশ। নেপাল-ভুটানের সঙ্গে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় ‘সেভেন সিস্টার্স’ এলাকাকে সামগ্রিকভাবে ভালো একটি অর্থনৈতিক অঞ্চল বানানোর দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন প্রধান উপদেষ্টা।

Exit mobile version