আজ শনিবার, আগস্ট ৯, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

‘ফ্যাসিস্টের শেষ পরিণতি মৃত্যু না হয় পলায়ন; আর শেখ হাসিনার ক্ষেত্রে তাই ঘটেছে’। এ মন্তব্য করেছেন আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক মাহমুদুর রহমান। চলমান সংস্কারের বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘সংস্কার নিয়ে আমরা যতটুকু জেনেছি তাতে দুই-একটি অর্থবহ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ১০ বছরের বেশি সময় কেউ একজন প্রধানমন্ত্রী থাকতে পারবেন না। এটা খুবই অর্থবহ। বিগত সময়ে সংবিধানকে এমনভাবে সাজানো হয়েছিল যার মাধ্যমে শেখ হাসিনা ফ্যাসিস্ট হয়ে উঠতে পেরেছিল। কারণ একজন ব্যক্তি যখন আমৃত্যু ক্ষমতায় থাকার লোভ করে তখন তিনি ফ্যাসিস্ট হতে বাধ্য। তিনি ফ্যাসিস্ট হবেন এটাই নিয়তি। আর ফ্যাসিস্টেরও নিয়তি বা শেষ পরিণতি মৃত্যু না হয় পলায়ন। শেখ হাসিনার ক্ষেত্রেও তাই ঘটেছে। শনিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে সেন্টার ফর সিভিল রাইটস কর্তৃক ‘অন্তর্বর্তী সরকারের বৈধতা ও আইনগত মর্যাদা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। এতে সভাপতিত্ব করেন বিচারপতি এ এফ এম আব্দুর রহমান। তিনি আরও বলেন, নির্বাচনের জন্য সরকার যে সময়সীমা ঘোষণা করেছে এর বাইরে যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই। কোনো কারণে নির্বাচন না হলে এই সরকারের বিদায় ভালো হবে না। দিল্লি থেকে নির্বাচন নিয়ে বিভিন্ন ধরনের ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। ফলে এ বিষয়ে সবাইকে সচেতন থাকতে হবে। মাহমুদুর রহমান বলেন, নির্বাচন নিয়ে দিল্লি থেকে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। ফ্যাসিবাদবিরোধী শক্তি যদি ঐক্যবদ্ধ থাকে তাহলে ভারত থেকে যতই ষড়যন্ত্র করা হোক না কেন তা ব্যর্থ হবে। তিনি বলেন, একটি অবাধ, নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের ব্যাপারে সরকারের পাশাপাশি রাজনৈতিক দলগুলোকেও আন্তরিক হতে হবে। তারা যদি নির্বাচনে পেশিশক্তি ও কালো টাকার প্রভাবমুক্ত করতে পারে তাহলেই একটি স্বচ্ছ নির্বাচন করতে সক্ষম হবে সরকার। বিচারপতি এ এফ এম আব্দুর রহমানের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য রাখেন, অর্ন্তবর্তীকালীন সরকারের সংবিধান সংস্কার কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট এমরান এ ছিদ্দিক, ব্যারিস্টার আক্কাস আলী চৌধুরী, ব্যারিস্টার সাজ্জাদ আলী চৌধুরী, অ্যাডভোকেট ড. আশরাফুল ইসলাম, জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মহসিন রশিদ ও বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামের কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ড. হেলাল উদ্দিন প্রমুখ।

Exit mobile version