স্টাফ রিপোর্টার
অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ ওঠায় রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান মেঘনা পেট্রোলিয়াম লিমিটেডে কর্মচারী নিয়োগের লিখিত পরীক্ষার ফল বাতিল করা হয়েছে। একইসঙ্গে নীতিমালা অনুযায়ী, নতুন করে লিখিত পরীক্ষা গ্রহণের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। রোববার (২৭ জুলাই) বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের (বিপিসি) বিজ্ঞপ্তি থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
সোমবার (২৮ জুলাই) আরেক বিজ্ঞপ্তিতে পরীক্ষা না দিয়েও পাস করার মতো গুরুতর অভিযোগে মেঘনা পেট্রোলিয়ামের সদ্যবিদায়ী এমডি মো. টিপু সুলতানের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। ওই নির্দেশে মো. টিপু সুলতানের বিরুদ্ধে বিদ্যমান নিয়োগ নীতিমালার ব্যত্যয় ঘটানোর কথা বলা হয়। বিপিসির সচিব শাহিনা সুলতানার স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তি থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।
এ প্রসঙ্গে শাহিনা সুলতানা জানান, অনিয়মের অভিযোগ ওঠায় জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের নির্দেশনা অনুযায়ী নিয়োগ পরীক্ষার (লিখিত) ফল বাতিল করা হয়েছে। একই সঙ্গে নতুনভাবে পরীক্ষা নেওয়ারও নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। এ ছাড়া ওই ঘটনায় সাবেক এমডি মো. টিপু সুলতানের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশনাও এসেছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের তরফে।
জানা গেছে, টিপু সুলতান মেঘনা পেট্রোলিয়ামের এমডি পদে ছিলেন, তিনি রোববার (২৭ জুলাই) অবসরে যান। ওই দিন বিকেলেই ইস্টার্ন রিফাইনারির মহাব্যবস্থাপক (ফাইন্যান্স অ্যান্ড অ্যাকাউন্টস) মো. শাহিরুল হাসানকে এমডির দায়িত্ব দেওয়া হয়।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, মেঘনা পেট্রোলিয়াম লিমিটেডে কর্মচারীদের ১৪৭টি পদে জনবল নিয়োগে গত ৪ জুলাই ঢাকায় বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ম্যানেজমেন্টের (বিআইএম) অধীনে নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এতে ১৭ হাজার চাকরিপ্রত্যাশী আবেদন করলেও অংশ নেন মাত্র সাত হাজার জন। পরীক্ষার ছয় দিন পর, অর্থাৎ ১১ জুলাই প্রকাশিত ফলাফলে দেখা যায় ৯৮১ জন উত্তীর্ণ হয়েছেন। তবে ফলাফল নিয়ে তৈরি হয় বিতর্ক। প্রকাশিত ফলে পরীক্ষায় বসেননি এমন অনেককে পাস করিয়ে দেওয়ার অভিযোগ করেন মো. জিহাদ নামে একজন চাকরিপ্রত্যাশী।
বিপিসি থেকে জানা যায়, নিয়োগ পরীক্ষায় দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগে বিপিসি ১৬ জুলাই বিপিসির পরিচালক (অর্থ) নাজনীন পারভিনের নেতৃত্বে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করে। ওই তদন্ত কমিটি এখনো প্রতিবেদন দিতে পারেনি। সাত কর্মদিবসের মধ্যে কমিটিকে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছিল। এই অবস্থায় রোববার (২৭ জুলাই) মেঘনা পেট্রোলিয়ামের এমডি মো. টিপু সুলতান দায়িত্ব থেকে সরে যান। এর পরদিনই কর্মচারী নিয়োগ পরীক্ষার লিখিত পরীক্ষার ফল বাতিল করে বিপিসি।