আজ শনিবার, মে ১০, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

গণহত্যা, স্বৈরশাসন ও সন্ত্রাসী কার্যক্রমের অভিযোগে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের যে দাবি এসেছে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সংগঠন থেকে, সেটি গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করছে অন্তর্বর্তী সরকার। সাবেক রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদের দেশত্যাগ নিয়েও বিভিন্ন মহলে উঠেছে সমালোচনা। সরকার এ ব্যাপারেও আইনগত প্রক্রিয়ায় ব্যবস্থা নিতে বদ্ধপরিকর।

শুক্রবার (৯ মে) এক বিবৃতিতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং এ তথ্য জানায়। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রধান উপদেষ্টার ফেরিফায়েড ফেসবুক পেজেও এটি প্রকাশ করা হয়।

বিবৃতিতে বলা হয়, সম্প্রতি বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সংগঠন ও জনগণের পক্ষ থেকে স্বৈরশাসন ও সন্ত্রাসী কার্যক্রমের অভিযোগে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ করার যে দাবি উঠেছে, তা সরকার গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করছে। এ ব্যাপারে সরকার রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে ইতোমধ্যে যোগাযোগ স্থাপন করেছে, তাদের সাথে আলোচনা করে দ্রুত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে।

আরও বলা হয়, আওয়ামী লীগের নেতা ও সমর্থকদের সন্ত্রাসী কার্যক্রমের বিষয়ে জাতিসংঘের প্রতিবেদন সরকার বিবেচনায় রাখছে। সে পর্যন্ত সকলকে ধৈর্য ধারণ করার আহ্বান জানাচ্ছে। ইতোমধ্যে সরকার জনদাবীর প্রতি সম্মান জানিয়ে প্রচলিত আইনের অধীনে সন্ত্রাসী সংগঠন ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করেছে। সরকারের পক্ষে থেকে মানবতাবিরোধী অপরাধের সাথে জড়িত সংগঠনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত আইনে প্রয়োজনীয় সংশোধনী আনার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।

এতে বলা হয়, ফ্যাসিবাদী সরকারের সাবেক রাষ্ট্রপতি ও হত্যা মামলার আসামি আবদুল হামিদের বিদেশ গমন সম্পর্কে জনমনে ক্ষোভ বিষয়ে সরকার অবগত। এ ঘটনার সাথে জড়িত সকলের বিরুদ্ধে উপযুক্ত আইনগত ব্যবস্থা নিতে সরকার বদ্ধপরিকর।

উল্লেখ্য, ১৫ বছরের টানা শাসনামল শেষে গত বছরের ৫ আগস্ট পতন হয় শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারের। অভিযোগ রয়েছে, দেড় যুগ ক্ষমতায় থাকাকালীন দলটি বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীদের ওপর ব্যাপক জুলুম-নিপীড়ন চালিয়েছে। পাশাপাশি ২০২৪ সালের জুলাইয়ে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে সেই সরকারের একাধিক গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে থাকা সদস্যদের নির্দেশেই আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে প্রাণ হারায় সহস্রাধিক মানুষ।

Exit mobile version