আজ শনিবার, মে ৩, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

আত্তারি-ওয়াঘা ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে থাকা আন্তর্জাতিক একটি সীমান্ত। এই সীমান্তে দু’দেশের নিরাপত্তা বাহিনী বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্স এবং পাকিস্তান রেঞ্জার্স যৌথভাবে প্রতিদিন একটি অনুষ্ঠান করে আসে। ১৯৫৯ সাল থেকে চলে আসা সেই আয়োজনে শনিবার (২৬ এপ্রিল) ব্যত্যয় ঘটলো। দু’দেশের সৈনিকরা অন্যান্য আনুষ্ঠানিকতা করলেও এদিন করমর্দন করেনি। খবর জিও নিউজের।

সম্প্রতি কাশ্মিরের পেহেলগামে পর্যটকদের ওপর হামলার জন্য ভারত সরাসরি পাকিস্তানকে দায়ী করেছে। বহু বছর পর এত বড় হামলায় বেসামরিক মানুষ মারা গেছে। পাকিস্তান অবশ্য এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে। এরপর থেকেই দু’দেশের মধ্যে উত্তেজনা বাড়ছে। কূটনৈতিকভাবে একে অপরকে দোষারোপ করছে তারা। ভিসা বাতিল হয়েছে, সীমান্ত বন্ধ বা সীমিত করার ঘোষণা এসেছে।

এরপর থেকেই আত্তারি-ওয়াঘা সীমান্ত বন্ধের ঘোষণা দেয় ভারত। এখনও দু’দেশের লোহার ফটক তালাবদ্ধ।

বহু বছর ধরেই এ সীমান্ত পর্যটকদের জন্য খুবই আকর্ষণীয় একটি স্থান। সীমান্তে অনুষ্ঠিত হয় কুচকাওয়াজ। দুই বাহিনীর লোকজন করমর্দন করেন। পর্যটকরাও তখন চিৎকার করে হাততালি দিয়ে সৈনিকদের উৎসাহ দেন।

এদিন ভারতীয় অংশে হাজার পাঁচেক দর্শক ছিল। তবে পাকিস্তান অংশ তুলনামূলক ছিল ফাঁকা।

আয়োজন দেখতে আসাম থেকে যাওয়া রীনা দেবী ও পি কে নাথ বলেন, অনুষ্ঠানটা দেখার জন্যই এতদূর এসেছি। খুব ভালো লাগছে।

পি কে নাথ জানান, তাদের দল জম্মু ও কাশ্মিরের এক মন্দির দর্শনে যাবেন। তবে সাম্প্রতিক হামলার পর নিরাপত্তা নিয়ে একটু চিন্তিত।

Exit mobile version