আজ রবিবার, মে ৪, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

গত বছরের ডিসেম্বর শেষে দেশের ব্যাংকিং খাতে খেলাপি ঋণ রেকর্ড ছাড়িয়ে গেছে। ডিসেম্বর শেষে এই খাতে খেলাপি ঋণের পরিমাণ ৩ লাখ ৪৫ হাজার ৭৬৪ দশমিক ৮৬ কোটি টাকা। যা মোট বিতরণ করা ঋণের ২০ দশমিক ২ শতাংশ। বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) বাংলাদেশ ব্যাংকের এক প্রতিবেদনে এই তথ্য তুলে ধরা হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ব্যাংকিং খাতে ডিসেম্বর শেষে মোট ঋণ ও অগ্রীমের পরিমাণ ১৭ লাখ ১১ হাজার ৪০১ দশমিক ৯১ কোটি টাকা। এর মধ্যে ২০ দশমিক ২০ শতাংশ খেলাপি ঋণ।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, রাষ্ট্র মালিকানাধীন বাণিজ্যিক ব্যাংকে খেলাপি ঋণের হার ৪২ দশমিক ৮৩ শতাংশ। সেপ্টেম্বর শেষে যা ৪০ শতাংশ ছিল। এছাড়া বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংকে খেলাপি ঋণের হার ১৫ দশমিক ৬০ শতাংশ। যা সেপ্টেম্বর শেষে ১১ দশমিক ৮৮ শতাংশ ছিল।

এর আগে, গত সেপ্টেম্বর শেষে খেলাপি ঋণের পরিমাণ ছিল ২ লাখ ৮৪ হাজার ৯৭৭ কোটি টাকা। যা মোট বিতরণ করা ঋণের ১৬ দশমিক ৯৩ শতাংশ। সে হিসাবে তিন মাসের ব্যবধানে খেলাপি ঋণ বেড়েছে ৬০ হাজার ৭৮৭ কোটি টাকা বেড়েছে। যা আগের চেয়ে ৩ দশমিক ২৭ শতাংশ বেশি পয়েন্ট বৃদ্ধি পেয়েছে।

এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্ণর ড. আহসান এইচ মনসুর বলেন, খেলাপি ঋণের পরিমাণ আরও বাড়বে। আগে ঋণ কমিয়ে দেখানো হলেও এখন সেটি হচ্ছে না। এছাড়া আইনগত পরিবর্তনের কারণে খেলাপি ঋণ বাড়ছে। এ সময় দুর্বল ব্যাংক শক্তিশালীকরণ এবং একীভূতকরণে আইন করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।

গভর্নর বলেন, লেনদেনে ভারসাম্যহীনতা কমে আসা এবং রিজার্ভ বৃদ্ধিতে আমরা সন্তুষ্ট। তবে আমানতের প্রবৃদ্ধি ৭ শতাংশ থেকে বেড়ে অন্তত ১৪ শতাংশের বেশি হওয়া উচিত। তবে আপাতত আর্থিক খাতে সংকটের কোনো আশঙ্কা নেই বলেও জানান তিনি।

Exit mobile version