
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) ঘোষিত ঐতিহাসিক জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে জিয়াউর রহমানের প্রমাণ্য চিত্র প্রদর্শনী করা হয়েছে।
সোমবার (১০ নভেম্বর) সন্ধ্যায় নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী মাসুদুজ্জামান মাসুদের পক্ষ থেকে প্রমাণ্য চিত্র প্রদর্শনী করা হয়।
প্রমাণ্য চিত্র প্রদর্শনীর পূর্বে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুস সবুর খান সেন্টু বলেন, জুলাই থেকে আগস্ট পর্যন্ত হাজার হাজর নিরাপদ শিশু, কিশোর ও ছাত্রজনতাকে হত্যা করেছে শেখ হাসিনা। দেশে ফ্যাসিবাদী শাসনকে কায়েম খারা৷ জন্য ২০০৮ থেকে ২৪ পর্যন্ত হাজার হাজার বিএনপির নেতাকর্মীদের খুন গুম করেছে। সারাদেশে একটি দাবি যে, বাংলাদেশের গণতন্ত্রকে পুনরুদ্ধার করতে হবে। এবং গণতন্ত্রকে পুনরুদ্ধার করতে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে হবে। এবং সেটি আগামী ২৬ সালে অনুষ্ঠিত হবে।
তিনি আরও বলেন, নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল, এক ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে, সেটি হচ্ছে নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনে মাসুদুজ্জামান মাসুদকে মনোনয়ন দিয়েছে। আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান অনেক যাচাই বাচাইয়ের মাধ্যমে জাতীয়তাবাদী দলের কেন্দ্রীয় দপ্তরে দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর নেতৃত্ব প্রথমিক সদস্য পদ গ্রহণ করে।
সেন্টু বলেন, নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনে অনেকেই মনোনয়ন চেয়েছিল, এই মনোনয়ন যাচাই বাছাইয়ের পর স্থায়ী কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী ব্যবসায়ী মাসুদুজ্জামান মাসুদের নাম ঘোষণা করেছেন। এবং বিএনপির সংসদ সদস্য প্রার্থী হিসাবে পাঠিয়েছে। এজন্য আমরা ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ বিএনপির সকলের কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।
নারায়ণগঞ্জে বিএনপি নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আপনাদের প্রতি অনুরোধ থাকবে, আপনারা যারা বিভ্রান্ত ছড়াচ্ছেন, জ্ঞান পাপীদের ষড়যন্ত্রে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে আবল-তাবল কথা লিখছেন, আপনারা তরুণ আমার সন্তান, ভাইয়ের মতো। আপনাদের প্রতি আমার অনুরোধ আসুন আমরা সকলে ভেদাভেদ ভুলে গিয়ে, একজন সৎ নিষ্ঠাবান ক্রিয়া সংগঠক ও ব্যবসায়ী মাসুদুজ্জামান মাসুদকে আগামী নির্বাচনে ধানের শীষ প্রতীককে ভোটে নির্বাচিত করব।
মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আনোয়ার হোসেন আনুর সভাপতিত্বে আরও উপস্থিত ছিলেন, মহানগর বিএনপির সাবেক সহসভাপতি মনিরুজ্জামান মনির, যুগ্ম আহ্বায়ক মনোয়ার হোসেন শোখন, সদস্য মো. ফারুক হোসেন, অ্যাড. বিল্লাল হোসেন, মাহাবুব উল্লাহ তপন, মো. আলমগীর হোসেন, সহিদুল ইসলাম রিপন, অ্যাডভোকেট শরীফুল ইসলাম শিপলু, সদর থানা ছাত্রদলের সাবেক সহসভাপতি ইফতেখার কায়েস রুমেল, সদর থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক জাকির হোসেন, সদস্য সচিব মাহবুবুর রহমান জুলহাস, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক জহিরুল ইসলাম হারুন, মহিলা দল নেত্রী সাজেদা খাতুন মিতা, ৯ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সহসভাপতি হায়দার, বিএনপি নেতা সরকার আলম, সাবেক ছাত্রদল নেতা জয়নাল আবেদীন, ছাত্রদল নেতা আরফিন তায়েফ, এম এ হানিফ, মোয়াজ্জেম হোসেন সাগর প্রমুখ।

