
ষ্টাফ রিপোর্টার: ১৮৮১ সালের নেগোশিয়েবল ইনস্ট্রুমেন্টস অ্যাক্টের ১৩৮ ধারা অনুযায়ী ব্যাংক অ্যাকাউন্টে অপর্যাপ্ত তহবিলের কারণে চেক ডিজঅনার একটি মামলায়
হুমায়ন কবির সুজন নামে নারায়ণগঞ্জে এক ব্যক্তিকে এক বছরের কারাদণ্ড এবং একই সাথে চেকের সমপরিমাণ অর্থ ফেরত দেওয়ার আদেশ দিয়েছে আদালত।
১১ আগষ্ট (সোমবার) যুগ্ম দায়রা জজ ৪র্থ আদালত নারায়ণগঞ্জের বিচারক আব্দুল মোমেন আসামীর অনুপস্থিতিতে এ রায় প্রদান করেন।
সাজাপ্রাপ্ত আসামী ঢাকার গুলশানের সাং- ২৭, ব্লক-বি, ফ্ল্যাট-বি-২ এর মৃত হাজী আনোয়ার আলীর ছেলে হুমায়ন কবির সুজন।
জানা যায়, বাদীর প্রতিষ্ঠান মেসার্স আলা হযরত এন্টারপ্রাইজ থেকে আসামী হুমায়ন কবির সুজন তেল সরবরাহ করতো এবং বকেয়া বাবদ ৬০,৯৪,০০০/-(ষাট লক্ষ চুরানব্বই হাজার) টাকা হয়। আসামী বাদীকে ২০২৩ সালের ১৯ ডিসেম্বর উক্ত টাকার একটি চেক প্রদান করে। যা ২০ ডিসেম্বর চেকের উল্লেখিত ব্যাংকে জমা প্রদান করলে অপর্যাপ্ত তহবিল মর্মে চেক ডিজঅনার হয়। এবিষিয়ে একই বছরের ২৭ ডিসেম্বর আসামী বরাবরে একটি লিগ্যাল নোটিশ প্রদান করা হয়। আসামী লিগ্যাল নোটিশটি প্রত্যাখ্যান করে ৩১ ডিসেম্বর ফেরত আসে। আসামী বরাবরে লিগ্যাল নোটিশ প্রেরণ করার পরও অভিযুক্ত ব্যক্তি টাকা পরিশোধ না করায় অভিযোগকারী ১৮৮১ সালের নেগোশিয়েবল ইনস্ট্রুমেন্টস অ্যাক্টের ১৩৮ ধারা অনুযায়ী একটি চেক ডিজঅনার মামলা দায়ের করেন।
ওই মামলায় ২০২৫ সালের ১১ আগষ্ট রায় হয়। রায়ে যুগ্ম জেলা দায়রা জজ ৪র্থ আদালত নারায়ণগঞ্জের বিচারক আব্দুল মোমেন আসামীর অনুপস্থিতিতে সুজনকে এক বছরের কারাদণ্ডসহ চেকের সমপরিমাণ ৬০, ৯৪,০০০/-(ষাট লক্ষ চুরানব্বই হাজার) টাকা অর্থ ৬০(ষাট) দিনের মধ্যে ফেরত দেওয়ার আদেশ দেন আদালত। এছাড়া পলাতক আসামীর বিরুদ্ধে সাজা পরোয়ানাসহ গ্রেফতারী পরোয়ানা ইস্যু করার নির্দেশ দিয়েছে আদালত।

