নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি : প্যারোলে মুক্তি পেয়ে স্ত্রীর জানাজায় অংশ নিয়েছেন নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের (নাসিক) ৬ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর ও সিদ্ধিরগঞ্জ থানা যুবলীগের সভাপতি আলহাজ্ব মতিউর রহমান মতি।
শনিবার (১ নভেম্বর) জোহরের নামাজের পর মতির সাবেক কাউন্সিলর কার্যালয়ের সামনের একটি মসজিদ সংলগ্ন মাঠে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এসময় দলমত নির্বিশেষে জানাজায় অংশ নেন হাজার হাজার মানুষ।
এর আগে শুক্রবার সকাল ১১টায় নিজ বাসায় তার স্ত্রী রোকেয়া রহমান মৃত্যুবরণ করে। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৫৭ বছর।
স্ত্রীর জানাজায় অংশ নিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন মতি। এসময় উপস্থিত মুসুল্লিদের উদ্দেশ্যে তিনি তার স্ত্রীর দোষগুণ ভুলে ক্ষমার আবেদন করেন। অঝোরে কেঁদে মতি বলেন, আমি দীর্ঘ ১০ মাস ধরে কারাগারে রয়েছি। এর ভেতর গতকাল আমার স্ত্রী মৃত্যুবরণ করে। তার সঙ্গে আমি ৩২ বছরের সংসার জীবন কাটিয়েছি। সে সবসময় আমাকে আগলে রেখেছেন।
তিনি বলেন, আমার দুর্ভাগ্য যে আমার বড়ভাই যখন মৃত্যুবরণ করেছিলেন তখনও আমি কারাগারে ছিলাম। আজকের মতো সেই তখনও আমার অনুপস্থিতিতে আপনারা সবাই সবকিছু করেছিলেন। আমি আপনাদের প্রতি কৃতজ্ঞ। আমার স্ত্রী যদি চলার পথে আপনাদের সঙ্গে কোনো খারাপ আচরণ কিংবা ভুল করে থাকে আমি তার হয়ে আপনাদের কাছে ক্ষমা চাই। তার জন্য দোয়া করবেন। আমি তার জানাজায় অংশ নিতে পেড়েছি এটাই আমার জন্য অনেক।
এ বিষয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মিজানুর রহমান বলেন, মতিউর রহমান মতিকে কারা কর্তৃপক্ষ ৩ ঘণ্টার জন্য প্যারোলে মুক্তি দিয়েছেন। দুপুর ১টা হতে বিকেল ৪টা পর্যন্ত।
এ বছরের ১২ জানুয়ারি রাতে ঢাকাস্থ বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা হতে মতি ও তার ছেলে বাবুইকে গ্রেফতার করে ভাটারা থানা পুলিশের সদস্যরা। এরপর তাদের জেলহাজতে পাঠানো হলে মতির ছেলে বাবুই জামিনে মুক্তি পেলেও কারাভোগ করছেন তিনি।