
নারায়ণগঞ্জ ১০০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে আগত ডেঙ্গু রোগীদের নির্ভুলভাবে প্লাটিলেট কাউন্টসহ অন্যান্য ব্লাড টেস্ট করতে একটি সেল কাউন্টার ও দুটি পোর্টেবল ইসিজি মেশিন সরবরাহ করেছেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা।
বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) ‘গ্রীন অ্যান্ড ক্লিন নারায়ণগঞ্জ’ কর্মসূচির আওতায় জেলা পরিষদের পক্ষ থেকে এ দুটি আধুনিক যন্ত্র হস্তান্তর করেন তিনি।
পরে জেলা প্রশাসক হাসপাতাল প্রাঙ্গণে বৃক্ষরোপণ করেন এবং হাসপাতাল পরিদর্শন করে ডেঙ্গু ওয়ার্ডের ও মেঝেতে থাকা রোগীদের সঙ্গে কথা বলেন।
পরিদর্শন শেষে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা বলেন, নারায়ণগঞ্জ প্রায় কোটি লোকের বসবাস। জেলার স্বাস্থ্যসেবায় অত্র হাসপাতালটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। মাসে লক্ষাধিক রোগী এই হাসপাতাল থেকে সেবা নিচ্ছেন। তবে চিকিৎসক ও জনবল অপ্রতুল হওয়ায় কাঙ্ক্ষিত সেবা দেয়া যাচ্ছে না। আজকে এই হাসপাতালে আগত রোগীদের চিকিৎসার জন্য জেলা পরিষদের সহযোগিতায় ১টি সেল কাউন্টার ও ২টি পোর্টেবল ইসিজি মেশিন সরবরাহ করা হয়েছে।
এ সময় তিনি ডাক্তারদের উদ্দেশ্যে বলেন, রোগীরা যেন পূর্ণ মনোযোগ ও আন্তরিকতার সঙ্গে সেবা পান, সেটিই আমাদের প্রধান লক্ষ্য।
ভিক্টোরিয়া জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. মো. জহিরুল ইসলাম বলেন, “আগে আমাদের এখানে অটোমেটিক সিবিসি মেশিন ছিল না। এখন আমরা আরও নির্ভুলভাবে প্লাটিলেট কাউন্টসহ অন্যান্য ব্লাড টেস্ট করতে পারব। এতে ডেঙ্গু রোগীদের ব্যবস্থাপনা আরও উন্নত হবে। পোর্টেবল ইসিজি মেশিনের মাধ্যমে সরাসরি রোগীর কাছে গিয়ে পরীক্ষা করা যাবে।”
নারায়ণগঞ্জের সিভিল সার্জন ডা. এ এফ এম মুশিউর রহমান বলেন, “আমাদের হাসপাতাল ১০০ শয্যার হলেও আমরা কাউকে ফেরত দিই না। এই নতুন মেশিনগুলো আমাদের সক্ষমতা অনেক বাড়িয়ে দেবে। জেলা প্রশাসক শুধু আমাদের ক্ষেত্রেই নয়, জেলার প্রতিটি বিভাগের বিষয়েও খুবই মনোযোগী এটাই একজন প্রকৃত জেলা প্রশাসকের বৈশিষ্ট্য।”
এ সময় উপস্থিত ছিলেন ভিক্টোরিয়া জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. মো. জহিরুল ইসলাম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক নাঈমা ইসলাম, সহকারী কমিশনার মো. তারিকুল ইসলামসহ বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তা ও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।