
রংপুরে মরনব্যাধী ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে অর্থ অভাবে বিনা চিকিৎসায় জীবন মরন সন্ধিক্ষনে আমিনুল ইসলাম। রংপুর জেলা পীরগাছা উপজেলা ৫ নং ছাওলা ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ডের বিএনপির নির্বাচিত সভাপতি মোঃ আমিনুল ইসলাম মরনব্যাধী ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে সজ্জাশয়ী হয়ে আছেন দীর্ঘদিন যাবত,তিনি পীরগাছা উপজেলা ৫ নং ছাওলা ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ড হরিরাম মৌজার আজিজুল ইসলামের প্রথম সন্তান।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায় ৫ আগস্ট ফ্যাসিস্ট হাসিনা দেশ থেকে পালিয়ে যাওয়ার পর দীর্ঘ ১৭ বছর পর বিএনপির নেতা কর্মীদের ভোটের মাধ্যমে কমিটি গঠনে দিক নির্দেশনা দেন দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমান, কেন্দ্রীয় নির্দেশনা অনুযায়ী ২ নং ওয়ার্ডে ২০ জানুয়ারি ২০২৫ ইং তারিখে ভোটের মাধ্যমে ভোটারদের মন জয় করে ৯১ ভোট পেয়েছিলেন তিনি, প্রতিদন্ধি প্রার্থী থেকে ৩১ ভোট বেশি পেয় জয়লাভ করে সভাপতি নির্বাচিত হন, তার কিছুদিন পর থেকে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পরেন তিনি।
অসুস্থ অবস্থায় রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপালে ভর্তি হয়ে পরিক্ষা নিরিক্ষা করে ধরা পড়ে মরনব্যাধী ক্যান্সারে দীর্ঘ ৬ মাস ধরে রংপুর মেডিকেলে চিকিৎসা গ্রহন করে কোন রকম সুস্থ হয়ে বাড়িতে আসেন, ৬ মাস চিকিৎসা করতে সর্বশান্ত হয়ে যায় তার পরিবার।
শরীরের অবনতি হলে আবার রংপুর মেডিকেলে যান তিনি মেডিকেলের কর্তব্যরত চিকিৎসক ঢাকা মিরপুর ক্যান্সার হাসপাতালে গিয়ে চিকিৎসা গ্রহন করার পরামর্শ প্রদান করেন কিন্তু অর্থ অভাবে তাকে ঢাকায় নেয়া সম্ভব হয়নি তার পরিবারের, পরিবারে ৪ ভাইয়ের মধ্যে তিনি বড়, তার এক স্ত্রী, এক কন্যা, তিন ছেলে সন্তান রয়েছে তার, এক মেয়ে এক ছেলে বিয়ে করে সংসার সামলাচ্ছেন, আর বাকি দুই ছেলে লেখা পড়া করছেন একজন হাই স্কুলে আর একজন প্রাইমারি স্কুলে।
তার জীবন দশায় জানা যায় ৯০ দশকে একই ওয়ার্ডে যুবদলের সভাপতি ছিলেন তিনি তখন থেকে সুখে দুখে মানুষের পাশে দারাতেন তিনি, কিন্তু নিজের এই দুঃসময়ে কাউকে পাশে পাননি তিনি এমনকি পাশে পাননি নিজ দলের নেতা কর্মীদেরো।গত ২৮ সেপ্টেম্বর রবিবার ঢাকা মিরপুর ক্যান্সার হাসপাতালে তাকে ভর্তি করলে ২৯ সেপ্টেম্বর সোমবার সকাল আনুমানিক ১০:০০ ঘটিকায় শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুর সময় তার বয়স হয়েছিলো ৫০ বৎসর।