
দেশের সীমান্ত সুরক্ষা ও মানব পাচার প্রতিরোধে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) সবসময়ই অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছে। এরই ধারাবাহিকতায় সম্প্রতি বিজিবি এর আভিযানিক দল র্যাব, সিপিসি এর সাথে সমন্বয় করে টেকনাফের দুর্গম পাহাড়ি এলাকায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে। অভিযানে মানব পাচারকারীদের একটি চক্রকে গ্রেফতার করার পাশাপাশি বিপুলসংখ্যক ভূক্তভোগীকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে।
গত ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৫ তারিখ সন্ধ্যা ১৮০০ ঘটিকা থেকে ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৫ তারিখ রাত ২০০০ ঘটিকা পর্যন্ত টানা ২৬ ঘন্টা টেকনাফ উপজেলার কচ্ছপিয়া, বড়ডিল এবং রাজারছড়া করাচি গোরামারা পাহাড় এলাকায় ২ বিজিবি, র্যাব-১৫ এবং সিপিসি-১ এর যৌথ দল অভিযান পরিচালনা করে। এ সময় তারা অস্ত্রসহ তিনজন মানব পাচারকারীকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। আটককৃতদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে ২টি দেশীয় বন্দুক, একটি বিদেশী পিস্তল এবং ৩ রাউন্ড অ্যামুনিশন।
এছাড়াও অভিযানে মানব পাচারের শিকার হয়ে বিপদগ্রস্ত অবস্থায় থাকা মোট ৮৪ জন ভূক্তভোগীকে উদ্ধার করা হয়। এর মধ্যে ১৮ জন বাংলাদেশি নাগরিক এবং ৬৬ জন এফডিএমএন (ফোর্সড ডিসপ্লেসড মায়ানমার ন্যাশনালস)। তাদের নিরাপদ আশ্রয়ে ফিরিয়ে আনা হয়েছে।
বিজিবির এ সফল অভিযান প্রমাণ করে যে, দেশের সীমান্ত সুরক্ষা ও মানব পাচার প্রতিরোধে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সর্বদা সতর্ক অবস্থানে রয়েছে। সীমান্তবর্তী দুর্গম পাহাড়ি এলাকায় ঝুঁকি নিয়েও বিজিবি সদস্যরা যে সাহসিকতা ও পেশাদারিত্বের পরিচয় দিয়েছেন তা নিঃসন্দেহে প্রশংসনীয়। একইসাথে এই অভিযান বিজিবির মানবিক ও জনকল্যাণমূলক ভূমিকাকেও সামনে নিয়ে এসেছে।