আজ মঙ্গলবার, অক্টোবর ১৪, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

কাতারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা মোহাম্মদ আল-খুলাইফি গত বুধবার নেদারল্যান্ডসের দ্য হেগে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) প্রেসিডেন্ট তমুকো আকানের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। ইসরায়েলের নজিরবিহীন হামলার বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার উদ্যোগের অংশ হিসেবেই এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকের পর এক্সে দেওয়া পোস্টে আল-খুলাইফি লিখেছেন, দ্য হেগ সফর ছিল ‘আইনি পথ খতিয়ে দেখার জন্য নিয়োগপ্রাপ্ত দলের কাজের অংশ’। তার ভাষায়, ইসরায়েলের অবৈধ সশস্ত্র হামলার প্রতিক্রিয়ায় কাতারের পক্ষ থেকে এই পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। এর আগে গত বছর আইসিসিতে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ও সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্টের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধ ও মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধের অভিযোগে মামলা হয়। গাজায় বেসামরিক জনগণকে সরাসরি লক্ষ্যবস্তু করা ও দুর্ভিক্ষ সৃষ্টির মতো কৌশল ব্যবহারের অভিযোগে ওই মামলা করা হয়েছিল। গত নভেম্বরে তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানাও জারি করে আইসিসি।

এদিকে উপসাগরীয় সহযোগিতা কাউন্সিলের (জিসিসি) ছয় সদস্য দেশ যৌথ প্রতিরক্ষামূলক ব্যবস্থা গ্রহণে সম্মত হয়েছে। বৃহস্পতিবার দোহায় কাউন্সিলের বিশেষ অধিবেশনে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ৯ সেপ্টেম্বর দোহায় হামাস নেতাদের লক্ষ্য করে ইসরায়েলের হামলার পরিপ্রেক্ষিতে এ উদ্যোগ নেওয়া হলো। সেদিন যুক্তরাষ্ট্রের দেওয়া সর্বশেষ যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব নিয়ে বৈঠক চলাকালে হামলা চালানো হয়। হামাস জানিয়েছে, তাদের শীর্ষ কোনো নেতা নিহত হননি, তবে পাঁচজন সদস্য ও কাতারের একজন নিরাপত্তা কর্মকর্তা প্রাণ হারান। এ সময় গাজা সিটিতেও ইসরায়েলের সর্বাত্মক হামলা শুরু হয়। বিমান হামলার পাশাপাশি স্থল অভিযান চালানো হয় শহরটিতে। হামলার মুখে বিপুলসংখ্যক মানুষ দক্ষিণ দিকে সরে যেতে বাধ্য হন। অনেকে হাঁটতে হাঁটতে কিংবা বিভিন্ন যানবাহন ও গাধায় টানা গাড়িতে শহর ছাড়েন। ইসরায়েলের দাবি, সাম্প্রতিক কয়েক সপ্তাহে প্রায় সাড়ে তিন লাখ ফিলিস্তিনি গাজা সিটি ছেড়েছেন। স্থানীয় প্রশাসনের হিসাবে, ইসরায়েলি হামলার আগে শহরটিতে প্রায় ১০ লাখ মানুষের বসবাস ছিল, যাঁদের অধিকাংশই পূর্বে একাধিকবার বাস্তুচ্যুত হয়ে সেখানে আশ্রয় নিয়েছিলেন।

Exit mobile version