
ট্যাংকলরী ব্যবসা সচল রাখার ক্ষেত্রে পরিবহন ভাড়া বৃদ্ধির গেজেট প্রকাশ করার জন্য বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশনের (বিপিসি) চেয়ারম্যানকে আহ্বান জানায় বাংলাদেশ ট্যাংকলরী ওনার্স এসোসিয়েশনের নেতৃবৃন্দ। এ ব্যাপারে গত রবিবার বিপিসির চেয়ারম্যানের কাছে বাংলাদেশ ট্যাংকলরী ওনার্স এসোসিয়েশনের মহাসচিব মোহাম্মদ মাসুদ পারভেজ স্বাক্ষরিত একটি আবেদন প্রদান করা হয়। এর আগে ওইদিনই বিদ্যুৎ, জ্বালানী ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মোঃ ফাওজুল কবির খানের সভাপতিত্বে বাংলাদেশ ট্যাংকলরী ওনার্স এসোসিয়েশনের নেতৃবৃন্দের ৬ দফা দাবিসহ ট্যাংকলরীর ভাড়া বৃদ্ধির বিষয়ে যুক্তিসংগত আলোচনা হয়। আলোচনায় নেতৃবৃন্দ বলেন, বিআরটিএ কর্তৃক ট্যাংকলরীর ট্যাক্স-টোকেন, ফিটনেস, রুটপারমিট ইত্যাদি কাগজপত্র নবায়নের ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট পরিমান ফি পরিশোধ করে কাগজপত্র নবায়ন করা হয়। এছাড়াও গত দুই বছর ধরে “কন্ট্রিবিউশন টগ ফিন্যান্স অ্যাসিট্যান্স ফান্ড” নামে অতিরিক্ত ১ হাজার ৭২৫ টাকা নেওয়া হচ্ছে। অতিসম্প্রতি জুলাই ২০২৫ইং সাল থেকে এনবিআর কর্তৃক প্রতিটি গাড়ীর এআইটি ১৬ হাজার টাকার স্থলে ৮৮ শতাংশ বৃদ্ধি করে ৩০ হাজার টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। যাহা মড়ার উপর খাড়ার ঘায়ের স্বরুপ। যেটা আমাদের পক্ষে দেওয়া কোন মতেই সম্ভব নয়। যেহেতু আমরা বিপিসির (সরকারের) নির্ধারিত ভাড়ায় জ্বালানী তেল পরিবহন করে থাকি সেহেতু বর্ধিত আয়কর আমাদের উপর বর্তায় না। ডলারের মূল্য কয়েক দফায় বৃদ্ধির কারণে গাড়ীর টায়ার টিউব, খুচরা যন্ত্রাংশের মূল্য বেড়েছে কয়েকগুন। এছাড়া ট্যাংকলরী চেসিসের মূল্য ২৫ লক্ষ টাকার স্থলে ৩৫ লক্ষ টাকা হয়ে গেছে। যার ফলে প্রতিনিয়ত ট্যাংকলরী ব্যবসায় লোকসান গুনতে হচ্ছে। ট্যাংকলরীর বর্তমান ভাড়া ডিপোর ৪০ কিলোমিটারে মধ্যে ০.৮৭ টাকা এবং ডিপোর ৪০কিলোমিটারে বাইরে গত ০২ অক্টোবর ২০২৩ইং সালের গেজেট অনুযায়ী প্রতিকিলোমিটার ০.৫০ লিটার ডিজেলের সমান মূল্য নির্ধারিত আছে।
ট্যাংকলরীর ভাড়া বৃদ্ধির ব্যাপারে তারা দাবি করেন- ডিপোর ৪০ কিলোমিটারে মধ্যে ভাড়া ০.৮৭ টাকার পরিবর্তে ১.২৫ টাকা নির্ধারণ এবং ডিপোর ৪০ কিলোমিটারে বাইরে ০.৫০ লিটার ডিজেলের মূল্যের পরিবের্তে ০.৭৫ লিটার ডিজেলের মূল্য নির্ধারণ করা অর্থাৎ ০.২৫ লিটার ডিজেলের মূল্যের সমপরিমান মূল্য বৃদ্ধি করে পরিবহণ ভাড়া নির্ধারণ করতে হবে।