
মেঘনা পেট্রোলিয়ামের এম ডি টিপু সুলতানের দুর্নীতি অতিতের সব রেকর্ডকে ছাড়িয়ে গেছে। তৎকালীন ফ্যাসিবাদ সরকারের মদদে মেঘনা পেট্রোলিয়ামকে একটি দুর্নীতির আখড়ায় পরিণত করেছে। তিনি তার অনুগত কিছু কর্মকর্তাকে নিয়ে একটি সিন্ডিকেট গড়ে তোলে। এমডির এই সিন্ডিকেট প্রতিষ্ঠানের যাবতীয় অবৈধ কর্মকাণ্ড পরিচালনা করতো। তিনি ও তার সিন্ডিকেট তেল চুরি, টাকার বিনিময়ে প্রমোশন এবং নিয়োগ বাণিজ্যেও মাধ্যমে কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন বলে জানা যায়। তার দুর্নীতির বিষয়ে দৈনিক জনদর্পণসহ বিভিন্ন মিডিয়ায় সংবাদ প্রচারিত হয়েছে। গত ৭ জুলাই দৈনিক জনদর্পণের একটি অনুসন্ধানী রির্পোটে তার নিয়োগ বাণিজ্যেও চিত্র তুলে ধরা হয়েছিল। ফলতে দেখা যাচ্ছে।
আগামি ২৭ জুলাই এমডি টিপু সুলতান অবসরে যাওয়ার কথা আছে। ইতোমধ্যে তিনি তার মেয়াদ বাড়ানো চেষ্টা ব্যর্থ হয়। তাই তিনিহ নিয়োগ বানিজ্য করে কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অপতৎপরতায় মেতে উঠে। তিনি উর্দ্ধতন কতর্ৃৃপক্ষকে বুঝিয়ে তড়িগড়ি করে ১৪৭ জনের একটি বিশাল নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে; যা এ যাবতকালে মেঘনা পেট্রোলিয়ামে বিরল ঘটনা। ৪ জুলাই লিখিত পরীক্ষা নেওয়া হয়। পরীক্ষার লিখিত পরীক্ষা ৬ দিনের মাথায় ফল প্রকাশ করা হয়। এত দ্রুত নিয়োগ পরীক্ষার ফল প্রকাশের ইতিহাস বিরল। মূলত: তিনি অবসরে যাওয়ার আগেই নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে এই তড়িগড়ি। নিয়োগ পরীক্ষা দায়িত্বে ছিল বাংলাদেশ ইন্সটিটিউট অব ম্যানেজমেন্ট। দৈনিক জনদর্পণের অনুসন্ধানে জানা যায়, এই বাংলাদেশ ইন্সটিটিউট অব ম্যানেজমেন্ট প্রতিষ্ঠানটি এম ডি টিপু সুলতানের ঘনিষ্টজনদের দ্বার পরিচালিত।
১৪৭ জন নিয়োগ প্রার্থীও মধ্যে ২ জন নিয়োগ পেয়েছে মাস্টার রোলে কর্মরতদের মধ্য থেকে, ১ জন ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের লোক। বাকী ১৪৪ জনকে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে বলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মেঘনা পেট্রোলিযামের এক কর্মকর্তাও বরাতে জানা যায়। একজন পরীক্ষার্থী অভিযোগ করে বলেন, পরীক্ষায় অনুপস্থিত থাকার পরও রেজাল্টে এমন প্রার্থীদেও পাশ দেখানো হয়েছে। মাস্টার রোলে কর্মরত অন্য একজন শ্রমিক বলেন, যেহেতু তাদেও কাছ থেকে টাকা নিলে জানাজানি হওয়ার ভয়ে তাদেরকে নিয়োগ পরীক্ষা ফেল দেখানো হয়। বিষয়টির সত্যতা যাচাইয়ের জন্য এম ডি টিপু সুলতানকে ফোন করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেন নি।