পাবনা থেকে চট্টগ্রামগামী গরুবাহী একটি মিনিট্রাক ছিনতাইয়ের ঘটনায় জড়িত এক সন্দেহভাজনকে আট মাস পর গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব। বাবলু ওরফে বাবুল (৩৮) নামের এই ব্যক্তিকে শনিবার বিকেলে ঢাকার বাড্ডা থানাধীন গুলশান লেক এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত বছরের ১৮ ডিসেম্বর পাবনার ঈশ্বরদী থেকে রানা হোসেন তার মালিকানাধীন মিনিট্রাক নিয়ে ১৫টি গরুসহ চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে রওনা হন। ১৯ ডিসেম্বর রাত আনুমানিক ৩টা ৪০ মিনিটে নারায়ণগঞ্জের বন্দর কামতাল এলাকায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের চট্টগ্রামগামী লেইনে পৌঁছামাত্র একটি সিলভার রঙের মাইক্রোবাস তাদের ট্রাকের সামনে ব্যারিকেড দেয়। এ সময় মাইক্রোবাস থেকে ভুয়া ডিবির কটি পরিহিত কয়েকজন ব্যক্তি নেমে এসে ট্রাকের কাগজপত্র দেখতে চায়। তারা গাড়িতে গরুর পেটে হেরোইন মাদক আছে বলে দাবি করে বাদী রানা হোসেন এবং ট্রাকচালক মো. ইরফানকে জোরপূর্বক মাইক্রোবাসে তুলে নেয়। এরপর তাদের মধ্যে একজন ব্যক্তি গরুসহ ট্রাকটি নিয়ে চলে যায়। মাইক্রোবাসের চালক তাদের গাড়ি ছেড়ে দেওয়ার সাথে সাথে গামছা দিয়ে রানা ও তার ড্রাইভারের চোখ, মুখ, হাত বেঁধে এলোপাতাড়ি কিল, ঘুসি মেরে শরীরের বিভিন্ন স্থানে রক্তাক্ত জখম করে। তাদের কাছে থাকা নগদ টাকা ও মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নিয়ে কিছুদূর যাওয়ার পর রাস্তার পাশে একটি ঝোপের মধ্যে ফেলে দিয়ে দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। এই চাঞ্চল্যকর ঘটনার প্রেক্ষিতে র‍্যাব-১১, র‍্যাব-৩ একটি যৌথ ও চৌকস আভিযানিক দল গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহ শুরু করে। বিভিন্ন তথ্যের ভিত্তিতে আসামীর অবস্থান নিশ্চিত হয়ে ২৪ মে বিকেল ৪টা ৩০ মিনিটে ডিএমপি ঢাকার বাড্ডা থানাধীন গুলশান লেক এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে। সেখান থেকে এই মামলার তদন্তে প্রাপ্ত সন্দেহভাজন আসামী বাবলু ওরফে বাবুল (৩৮) কে গ্রেপ্তার করা হয়। বাবলু বাড্ডা থানার বেরাইদ এলাকার চিনাদী (কসাই বাবলুর বাড়ি) গ্রামের আনোয়ার আলীর ছেলে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তারকৃত বাবলু এসব ঘটনায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে বলে জানায় র‌্যাব। তাদের পরবর্তী আইনানুগ কার্যক্রমের জন্য বন্দর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন র‍্যাব-১১।