
ভারত নিয়ন্ত্রিত জম্মু-কাশ্মিরের পেহেলগামে হামলার পর থেকে পাকিস্তানের সঙ্গে টানাপোড়েন চলছে ভারতের। এমন পরিস্থিতিতে বেশ কিছু রাজ্যকে জরুরি অবস্থার জন্য প্রস্তুত থাকতে মহড়ার নির্দেশ দিয়েছে দিল্লির কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
আগামীকাল বুধবার (৭ মে) মহড়া চালাতে বলা হয়েছে সংশ্লিষ্ট রাজ্যগুলোকে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে যে যে বিষয়ে মহড়া দিতে বলা হয়েছে, সেগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য বিষয়গুলো হচ্ছে:
সমস্ত সরকারী দফতরে বিমান হামলার সতর্কতা সাইরেন ব্যবস্থাকে সক্রিয় করা
সাধারণ নাগরিকদের সুরক্ষার স্বার্থে কিছু কৌশল অবলম্বন করা এবং স্কুল ও কলেজ পড়ুয়াদের মক ড্রিলে অংশ নেয়া
মক ড্রিলে নাগরিকদের ভূমিকা কী হবে কিংবা হঠাৎ ব্ল্যাকআউট হলে কী করণীয়-সেটির ধারণা দেয়া
সাইরেন বাজলেই ঘরের ভিতর ঢুকে দরজা, জানলা বন্ধ করা
ঘরের ভেতরে ও বাইরের সমস্ত আলো নিভিয়ে, ইলেকট্রনিক ডিভাইস বন্ধ করে ব্ল্যাকআউট করা
গুজবে কান না দেয়া কিংবা গুজব ছড়ানো থেকে বিরত থাকা
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সব মিলিয়ে দেশের ২৪৪টি জেলায় এই মহড়া চলবে। এছাড়াও মহড়া চলবে গ্রামীণ এলাকাতেও। পশ্চিমবঙ্গের কলকাতাসহ মোট ২৩টি জেলার ৩১টি জায়গায় মক ড্রিল করা হবে বলে জানানো হয়েছে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, পাকিস্তানের সঙ্গে যুদ্ধ বাঁধলে সাধারণ নাগরিক নিজেকে ও পরিবার পরিজনদের নিরাপদ এবং ক্ষয়ক্ষতির হাত থেকে কীভাবে বাঁচাবেন সেই কৌশল এবং বুদ্ধি পরামর্শের পাঠ নিতে হবে। সেনাবাহিনী এবং স্থানীয় প্রশাসন সেই প্রশিক্ষণ দেবেন ভারতীয় নাগরিকদের। যুদ্ধ বাধলে দেশ রক্ষার দায়িত্ব শুধু একা সেনাদের নয়; গোটা দেশবাসীর অংশগ্রহণ চায় মোদি সরকার।