
যে আওয়ামী লীগ বাংলাদেশের জনতার বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করেছে, মানবাধিকার লঙ্গন করেছে তারা এদেশে রাজনীতি করতে পারে না বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সদস্য সচিব আখতার হোসেন। এ সময় আওয়ামী লীগের প্রশ্ন অমীমাংসিত রেখে সামনে কোনো নির্বাচন হবে না বলেও হুঁশিয়ারি দেন তিনি।
শুক্রবার (২ এপ্রিল) বিকেলে বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ গেটের সামনে আওয়ামী লীগের বিচার ও রাজনৈতিক কার্যক্রম নিষিদ্ধের দাবিতে আয়োজিত সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন।
অন্তর্বতী সরকারকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, আপনারা অতীতের মতো সুশীল তত্ত্বাবধায়ক সরকার নন। আপনারা গণঅভ্যুত্থানের সরকার, আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে সমস্যা কোথায়? গণঅভ্যুত্থানের ম্যান্ডেট নিয়ে যারা উপদেষ্টা হয়েছেন তাদের কাছে প্রশ্ন, যে আওয়ামী লীগ বাংলাদেশে গণহত্যা চালিয়েছে সেই আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে বাধা কোথায়? ৫ই আগস্ট বাংলাদেশের জনগণ সিদ্ধান্ত নিয়েছে নৌকা মার্কা এবং মুজিববাদী আদর্শের নামে বাংলাদেশে কোনো রাজনীতি চলতে পারে না। আওয়ামী লীগের নাম নির্বাচনের নিবন্ধনের খাতা থেকে কেটে সন্ত্রাসীদের খাতায় লিখতে হবে। জুলাই প্রজন্ম বাংলাদেশে যতদিন বেঁচে আছে তততিন আওয়ামী লীগকে প্রাসঙ্গিক হতে দেয়া যাবে না বলেও জানান তিনি।
আওয়ামী লীগের দোসর উল্লেখ করে জাতীয় পার্টিকে হুঁশিয়ারি দেন তিনি। বলেন, জাতীয় পার্টি স্বৈরাচার প্রতিষ্ঠা করেছিল। যারা আওয়ামী লীগকে এদেশে ন্যূনতম স্পেস দেয়ার চেষ্টা করবে তাদের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের ছাত্ররা তাদের প্রতিরোধ গড়ে তুলবে। আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের প্রশ্ন শুধুমাত্র এনসিপির নয় এটা বিএনপি, জামায়াতসহ সকল রাজনৈতিক দলের। সকলের কাছে আহ্বান আওয়ামী লীগকে সবাই মিলে রাজনৈতিকভাবে নিষিদ্ধ করতে হবে। আওয়ামী লীগের প্রশ্ন অমীমাংসিত রেখে সামনে কোনো নির্বাচন হবে না।
তিনি আরও বলেন, সর্বশেষে সরকারের কাছে বলতে চাই, আওয়ামী লীগের দোসরদের আইনের হাতে তুলে দিন। জনগণের হাতে পড়লে বাংলাদেশে তারা আস্ত থাকবে না।