আজ মঙ্গলবার, অক্টোবর ১৪, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

নারায়ণগঞ্জে স্বামীকে আটকে রেখে স্ত্রীকে ধর্ষণের ঘটনায় প্রধান দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে ব়্যাব৷ বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় ব়্যাব-১১ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্ণেল এইচএম সাজ্জাদ হোসেন সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান৷

গ্রেপ্তার দু’জন হলেন- ফতুল্লার পূর্ব লামাপাড়া এলাকার মনিরুল ইসলামের ছেলে নাজমুল ইসলাম (২৫) এবং নাজমুলের বন্ধু একই এলাকার মো. রনি (২৫)৷

ব়্যাব কর্মকর্তা সাজ্জাদ বলেন, চাঞ্চল্যকর এ ঘটনাটির পর ব়্যাব ছায়া তদন্ত শুরু করে৷ গোয়েন্দা নজরদারির পর বৃহস্পতিবার দুপুর তিনটার দিকে নাজমুলকে পূর্ব লামাপাড়ার বাসা থেকেই গ্রেপ্তার করা হয়৷ পরে সন্ধ্যা সোয়া সাতটার দিকে আরেক অভিযানে গাজীপুর থেকে রনিকে গ্রেপ্তার করা হয়৷

ভুক্তভোগী নারী নাজমুলদের বাড়ির একটি কক্ষে ভাড়া থাকতেন৷ গত ১৮ ফেব্রুয়ারি রাতে গ্রেপ্তার নাজমুল ও তার বন্ধুরা মিলে স্বামীকে আটকে নির্যাতনের ভিডিও ধারণ ও সেই ভিডিও দেখিয়ে হত্যার হুমকি দিয়ে ভুক্তভোগীকে দলবেঁধে ধর্ষণ করে৷

ভুক্তভোগী নারী (২০) নারায়ণগঞ্জ সরকারি মহিলা কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রী এবং স্থানীয় একটি পোশাক কারখানায় চাকরি করেন। তার স্বামী অপর একটি পোশাক কারখানার কর্মী।

ভুক্তভোগী নারীর অভিযোগ, গত ১৮ ফেব্রুয়ারি রাতেই জাতীয় জরুরি সেবা ‘৯৯৯’ নম্বরে কল করা হয়৷ পুলিশ তাদের অভিযোগ পাবার পরও মামলা নেয়নি৷ এমনকি তৎক্ষনাৎ স্বাস্থ্য পরীক্ষার ব্যবস্থাও করেনি৷

ঘটনার আটদিন পর গত মঙ্গলবার ফতুল্লা মডেল থানায় ধর্ষণের মামলাটি রেকর্ড করা হয়৷ পরদিন বুধবার দুপুরে পুলিশি হেফাজতে ভুক্তভোগী নারীর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করানো হয়৷

এ মামলায় অভিযুক্ত নাজমুলের বন্ধুরা এখনো পলাতক রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ৷

এদিকে, দুপুরে ধর্ষণের ঘটনায় জড়িত সকল আসামিকে গ্রেপ্তারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে নারায়ণগঞ্জ সরকারি মহিলা কলেজের শিক্ষার্থীরা৷

বিকেলে দোষীদের গ্রেপ্তার এবং ধর্ষণের মতো স্পর্শকাতর ঘটনায় পুলিশের অসহযোগিতার অভিযোগ তদন্ত করে দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়ে সংবাদ সম্মেলন করে বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশনের নেতারা৷

সংগঠনটির জেলা কমিটির সভাপতি ফারহানা মানিক মুনা ৪৮ ঘন্টার আল্টিমেটামও দেন৷

Exit mobile version